মোবাইল নেটওয়ার্ক শেয়ারিং প্রযুক্তি বাংলালিংক ও টেলিটক সিম অপারেটরে

মোবাইল নেটওয়ার্ক শেয়ারিং প্রযুক্তি বাংলালিংক ও টেলিটক সিম অপারেটরে
Posted by Admin
Your Ads Here

মোবাইল নেটওয়ার্ক শেয়ারিং প্রযুক্তি বাংলালিংক ও টেলিটক সিম অপারেটরে - Sumonbdnet

বাংলাদেশে চালুু হয়েছে পৃথিবীর ‍অন্য দেশের মতো নেটওয়ার্ক শেয়ারিং প্রযুক্তি। আর এই প্রযুক্তি প্রথম চালু করছে বাংলাদেশের দুই সিম অপারেটর টেলিটক সরকারি সিম কোম্পানি ও আরেক অপারেটর বহু ব্যবহিত সিম কোম্পানি বাংলালিংক। এই দুই অপারেটর মধ্যে প্রথম বার চালু হচ্ছে নেটওয়ার্ক শেয়ারিং প্রযুক্তি।

বর্তমান বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের অবস্থান ও তালিকা 2024।


১. গ্রামীণফোন লিমিটেড - প্রথম অবস্থানে গ্রামীণফোন সিম অপপরেটরদের মধ্যে।

২. রবি আজিয়াটা লিমিটেড - দিতৃীয় অবস্থানে রবি সিম অপারেটরদের মধ্যে।

৩. বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড - তৃতীয় অবস্থানে বাংলালিংক সিম অপারেটর মধ্যে।

৪. টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড - চতুর্থ ও সর্ব শেষ অবস্থানে রয়েছে টেলিটক অপারেটর যা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান।

মোবাইল নেটওয়ার্ক শেয়ারিং কিভাবে কাজ করবে?

আমরা রাত দিন ২৪ঘন্টার মধ্যে ১২ থেকে ১৩ ঘন্টা পর্যন্ত গড়ে ইন্টানেট ব্যবহার করি প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বা সময় কাটানোর জন্য অথবা বিনোদনের জন্য ও শিক্ষা কাজে ইন্টানেট ব্যবহার করে থাকি। সেই কাজ গুলো যদি ভালো ভাবে করা যায় তাহলে তো ভালোই লাগে সকল গ্রাহকদের। আর যদি নেটওয়ার্ক সমস্যা করে তাহলে তো দূরভোগের তো সিমা থাকে না। তাই ইন্টানেট ব্যবহার ও মোবাইলে কথা বলাতে যাতে বিঘ্ন না ঘটে তার জন্য দেশে চালু হয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্ক শেয়ারিং প্রযুক্তি।

এই প্রযুক্তি যেভাবে কাজ করবে তা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
  • আমরা যখন বাংলালিংক অপারেটর সিম দিয়ে কথা বলা অথবা ইন্টারনেট ব্যবহার করবো তখন যদি বাংলালিংক সিমের নেটওয়ার্ক দূরবল হয় বা কাভারেজ না থাকে। তখন অন্য অপারেটরের সিম টেলিটক সিমের কাভারেজ থেকে অটোমেটিক সংযোগ হয়ে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার বা কথা বলা চালিয়ে যেতে পারবো। যেকোনো বাধা ছাড়াই।
  • এই প্রযুুক্তিতে কোনো কল ড্রপ হবে না। এতে আবার কল করতে হবে না। এবং বাড়াতি খরচ হবে না।
  • এক অপারেটরের সিম দিয়ে অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কল করে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। এতে গ্রাহকদের সার্ভিস গুলো ব্যবহার অনেক সহজ হবে।

এই নেইওয়ার্ক শেয়ারিং প্রযুক্তি আমাদের খুব ভালো লেগেছে, আপনাদে কেমন লেগেছে। আপনারদের কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিন আপনার মূল্যবান মতামত।

নেটওয়ার্ক শেয়ারিং প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহক ও অপারেটরদের কিভাবে কি লাভ হবে?

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে আরো সহজে ও নিরবিচ্ছন্ন ভাবে। এতে আমাদের কল ড্রপ হবে না। কাজেই আবার বার বার কল করে বাড়তি খরচ করতে হবে না কোনোগ্রাহকদের। এতে ইন্টারনেটও চলবে কোনো বাধা ছাড়াই। এতে কোনো গ্রাহকদের অব্যবহিত ডাটা ও এমবি রয়ে যাবে না। এ কারণে গ্রাহকরা এমবি বা ডাটা প্যাকেজ ও মিনিট প্যাকেজ গুলো কিনবে আরো বেশি বেশি। এতে গ্রাহকদের সাথে সাথে সিম অপারেটর কোম্পানি গুলো বেশি লাভ বান হবেন।

সকল অপারেটর সিম কোম্পানি গুলো নেটওয়ার্ক শেয়ারিং প্রযুক্তি কবে চালু করবে?


বর্তমান স্মার্ট বাংলাদেশের যুগ। তাই সকল সিম অপারেটর গুলো চাই তাদের সার্ভিস গুলো আরো স্মার্ট হোক। তাই বলা চলে নেটওয়ার্ক শেয়ারিং প্রযু্ক্তির চাহিদা রয়েছে সকল সিম অপারেটর কোম্পানি গুলোর। নেটওয়ার্ক শেয়ারিং প্রযুক্তি এটি বাংলাদেশে প্রথম চালু করেছে বাংলালিংক ও টেলিকম সিম অপারেটর দুইটি। ধারণা করা হচ্ছে আগামি ২০২৪ সালের মধ্যে সকল সিম কোম্পানি গুলো এই প্রযুক্তির ব্যবহার করবে। অপারেটর গুলোর আওতায় চলে আসবে সারা বাংলাদেশ। ব্যবহার করবে এই নেটওয়ার্ক শেয়ারিং প্রযুক্তি সকল মানুষ। উপকৃত হবে সকল মানুষ। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে আরো সামনের দিকে। সবাইকে শুভাকনা জানিয়ে সমাপ্ত করছি। সাথেই থাকবেন।

Your Ads Here

Your Ads Here

Your Ads Here

Your Ads Here

Newer Posts Newer Posts Older Posts Older Posts
Your Ads Here

Comments

Post a Comment
Loading comments...