ইন্টারনেট নিয়ে তথ্য বিশেষ । SumonBDnet
Posted by
Admin
Your Ads Here
ইন্টারনেট নিয়ে তথ্য বিশেষ । Information about the Internet is special । SumonBDnet
ইন্টারনেট নিয়ে তথ্য বিশেষ । Information about the Internet is special । SumonBDnet |
বরাবর মানুষের জীবনকে এগিয়ে নিতে বিজ্ঞানের কল্যাণে সকল মানুষ আজ সভ্যতার আলোকে আজ আলোকিত এবং সম্পদশালী হয়ে গেছে। তবে আমাদের সভ্যতাকে এই অমূল পরিবর্তন করেছে ৩ টি আবিষ্কার। এগুলো হলো আগুন, চাকা, এবং বিদ্যুৎ। তবে পরবর্তীতে মানুষের কল্যাণে আবিষ্কার এর মধ্যে বিভিন্ন রকম যন্ত্র, প্রতিষেধক,মহাকাশ গবেষণা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। যোগাযোগ এবং তথ্য সংগ্রহের ব্যবহারে সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ইন্টারনেট প্রযুক্তি।
খ.(ই-মেইল) এর মাধ্যমে তাৎখনিক ভাবে পৃথিবীর যেকোনো ইন্টারনেট ব্যবহারির সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে পারি।
গ.(ফেটেপ) এটির সাহায্যে একটি কম্পিউটারে অন্য আরেকটি কম্পিউটার এর মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করা যায়।
ঘ.( টেলিনেট) এটির সাহায্যে একটি কম্পিউটার ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটার এর সাথে সংযুক্ত হয় এবং তা ব্যবহার করা যায়।
ঙ.(নেট নিউজ) এর মাধ্যমে অতি সহজে নিউজ গুরুপ গুলোর মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করা হয়, এবং সাংবাদিকরা এই ইন্টারনেটের মুল ব্যবহারকারী।
চ.( আই. আর. সি) এটির মাধ্যমে অসংখ্য নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী একই সাথে নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময়, কথা বলা , যেকোনো আলাপ আলোচনা করতে পারে।
ইন্টারনেট কি?
আসলে ইন্টারনেট কোনো একক বিষয় না। অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে তৈরি সারা দেশ ব্যাপি বৃহৎ কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে বলে ইন্টারনেট। নিজস্ব প্রয়োজনে বা কর্ম সচল রাখতে এই কম্পিউটার ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক নতুন দিগন্ত উন্মোর্চন করে চলছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে পুরো বিশ্ব এখন সকল মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারের সূচনা।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ ১৯৬৯ সালে ১ম বার ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করে। পারমানবিক সমস্যা প্রতি হত করার জন্য বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং অন্যান্য দরকারী সকল তথ্য আদান প্রদান করার জন্যে তারা এই নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। শুধু ৪ টি কম্পিউটার এর সাহায্যে টেলিফোনের বিকল্প হিসেবে এই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন।
বাংলাদেশে ১ম বার ইন্টারনেট ব্যবহার।
বাংলাদেশে ১ম বার ইন্টারনেট ব্যবহার চালু করা হয় ১৯৯৩ সালে। তবে শুরুর দিকে এটির অফ লাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু হয়। যার ফলে তথ্যের বিশাল জগতের সম্পদ এর ব্যবহার সম্ভব হচ্ছিল না।এতে শুধু তথ্য ডাউনলোড এবং আপলোড করা সম্ভব হতো। এবং এর মাধ্যমে কেবল ই-মেইল সার্ভিসের সুবিধা পাওয়া যেতো। এবং পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ সাল থেকে আই. এস. এন. নামের একটি ফার্ম একটি সার্ভার স্থাপন করে অনলাইন ইন্টারনেটের সংযোগ দেওয়া শুরু করে। সেই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ১ হাজার এরও কম। কিন্তু ২০০১ সালে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ৬০ হাজারে।বর্তমানে ২০২২ সালে ৫০ লাখ মানুষ এই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এবং এই ইন্টারনেট ব্যবহারে সুবিধার জন্য ১২ টি প্রতিষ্ঠান অনলাইন সংযোগ এর কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ইন্টারনেটের ব্যাপক চাহিদা এবং ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
ইন্টারনেট ব্যবহার পদ্ধতি...
ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য মানুষ কম্পিউটার, টেলিফোন লাইন, মডেল ব্যবহার করে থাকে। ১ম বার এ কম্পিউটার এর তথ্যাদি টাইপ করতে হয় তারপর মেমোরিতে রাখতে হয়। এবং পরে সুবিধা মতো নেটওয়ার্কিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে তা পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে হয়। মডেল এক ধরনের ডিভাইস। এটি সাধারণত টেলিফোন লাইনের মাধ্যমে তথ্য প্রদান উপযোগী করতে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটার এর তথ্যাদিকে ডিজিটাল থেকে এনালগ এবং এনালগ থেকে ডিজিটালে রূপান্তর করে থাকে। টেলিফোন লাইন তথ্য আদান প্রদান এর কাজে সহায়তা করে থাকে। তাই এটি ছাড়া ইন্টারনেটের কোনো ধরনের কাজ করা সম্ভব না। কারন এই লাইন এর স্পিড এর ওপর তথ্য তারাতাড়ি হস্তান্তর হওয়া নির্ভর করে। ইন্টারনেট সার্ভিস মুলত ব্যবহৃত সময়ের ভিওিতে নিদিষ্ট একটি চার্জ নিয়ে নিজস্ব শক্তি শালী কম্পিউটার ফাইবার অপটিক্যাল মাধ্যমে দেশ বিদেশের অন্য ইন্টারনেট সদস্য এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য সাহায্য করে।
ইন্টারনেট সংযুক্তির উপায়।
ইন্টারনেটে ২ টি এপ. ওন. লাইন সার্ভিস এর মাধ্যমে সরাসরি অন্যটি ফাই. ওপ. সার্ভিস এর মাধ্যমে পরোক্ষ ভাবে। অনলাইন সার্ভিস এর মাধ্যমে যেকোনো একটি নেটওয়ার্ক এর সাথে সরাসরি যুক্ত হয়ে যখন তখন ইন্টারনেট সুবিধা লাভ করা যায়। সাধারণত ৩ ধরনের নেটওয়ার্কিং সিস্টেম থেকে ইন্টারনেট সংযুক্ত হয়ে থাকে। এগুলো হলো ফাই ওয়ান, ফাই টু, এবং ফাই থ্রী । ফাই ১ হলো এক দেশ থেকে অন্য দেশে যে ফাইভার তারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহ করে সার্ভার এর সাথে সংযু্ক্ত করে। আর ফাই ২ হচ্ছে সমুদ্র যে সার্ভার লাইন আসে সেই লাইন যেখানে আসে সংযুক্ত হয় সেটাই ফাই ২। এবং ফাই ৩ হচ্ছে ফাই ২ এর থেকে এসে সংযুক্ত হয়ে সকল গ্রহকে ইন্টারনেট সরবরাহ তাকে ফাই ৩ বলে বা ওয়াইফাই সরবরাহ কোম্পানি বলে। এটি সারা সারাদেশ জুড়ে সকল ডিভাইস এ সংযুক্ত হয়ে নেটওয়ার্কিং কাজ করে।
ইন্টারনেট ব্যবহার এর সুবিধা।
ইন্টারনেট হলো কম্পিউটার এর একটি নেটওয়ার্কিং সুবিধা। যা সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার পথ সহজ করে তুলেছে। এটি এমন একটা ব্যবস্থা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে মূহুর্তের মধ্যে যোগাযোগ করা যায়। এই ইন্টারনেট ব্যবহার এর ফলে মানুষের জীবনের সকল কিছু পরিবর্তন ঘটে চলছে। এর মাধ্যমে অল্প সময়ে পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে আমরা সকলেই তথ্য আদান প্রদান করতে পারি। রাজনৈতিক, অথনৈতিক,বিভিন্ন রকম দূর্যোগ, কৃষি উৎপাদন, জীব বৈচিত্র্য, শিক্ষা, বিনোদন সকল জায়গায় ইন্টারনেট ব্যবহার সুযোগে অবারিত আছে। একমাত্র ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে কোনো জায়গায় যে কোনো ধরনের ঘটনা গুলো সম্পর্কে জানা সম্ভব হচ্ছে বলে। যা তোমরা সবাই বুঝতে পারো। এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা সকল বিষয় এর সাথে পরিচিত হতে পারছি। যেমন অনলাইনে বই পরার সুযোগ পাচ্ছি। এছাড়াও ইনটারনেট ব্যবহার করে দূর শিক্ষানীয় অংশ গ্রহন করে শিক্ষার্থীরা উচ্চর্তর ডিগ্রি লাভ করে চলছে। যে বিষয় সমূহ থেকে আমরা সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট সুবিধা লাভ করে থাকি সেই গুলো হলোঃ
ক.(ডাবলু. ডাবলু. ডাবলু) এর সাহায্যে একই সময়ে চিত্র এবং শব্দ সহকারে তথ্য পাওয়া যায়।
ক.(ডাবলু. ডাবলু. ডাবলু) এর সাহায্যে একই সময়ে চিত্র এবং শব্দ সহকারে তথ্য পাওয়া যায়।
খ.(ই-মেইল) এর মাধ্যমে তাৎখনিক ভাবে পৃথিবীর যেকোনো ইন্টারনেট ব্যবহারির সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে পারি।
গ.(ফেটেপ) এটির সাহায্যে একটি কম্পিউটারে অন্য আরেকটি কম্পিউটার এর মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করা যায়।
ঘ.( টেলিনেট) এটির সাহায্যে একটি কম্পিউটার ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটার এর সাথে সংযুক্ত হয় এবং তা ব্যবহার করা যায়।
ঙ.(নেট নিউজ) এর মাধ্যমে অতি সহজে নিউজ গুরুপ গুলোর মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করা হয়, এবং সাংবাদিকরা এই ইন্টারনেটের মুল ব্যবহারকারী।
চ.( আই. আর. সি) এটির মাধ্যমে অসংখ্য নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী একই সাথে নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময়, কথা বলা , যেকোনো আলাপ আলোচনা করতে পারে।
ইনটারনেট ব্যবহারের নেতিবাচক দিক সমূহঃ-
এই ইন্টারনেট ব্যবহার মানুষেকে যেমন সুযোগ সুবিধা এনে দিয়েছে অপর দিকে তেমনি কিছু অসুবিধার সৃষ্টি করেছে। ফলে সমাজে কিছু নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সাইবার মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। ব্যবহারকারীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে। ধর্মীয় মূল্যবোধোর ওপর আঘাত আসে এখন তথ্য দিয়ে জাতি বিদ্বেষ এবং সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছে। নানা ধরনের মিথ্যা, ভুল সংবাদ পাঠিয়ে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নানা ধরনের মিথ্যা নোট, তথ্য সরবরাহ করে মানুষকে বিপদ এর মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এছাড়া ও মানবিক মুল্যবোধ ও নৈতিক চরিত্র হরনের মতো নানা রকম বিষয়ের অবতারণা করছে। ফলে পর্নোগ্রাফি,জুয়া ইত্যাদি সকল বৃদ্ধি পাচ্ছে। নানা রকমের সংস্থা ইচ্ছা কৃত ভাবে ইন্টারনেটে ভাইরাস ছেড়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার নষ্ট করে দিচ্ছে। ঘরে বসে বিভিন্ন স্থানে বোমা বিস্ফারণের মতো কাজ ও কেউ কেউ এই ইন্টারনেটের সাহায্যে করছে। কিন্তু এগুলো আমাদের সকলের জন্য খুব খারাপ অভিশাপ ডেকে নিয়ে আসছে। এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তির কোনো অপরাধ নেই। অপরাধ প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দের। কাজেই যেকোনো সুযোগ ব্যবহার করে ও তার উপকারীতা নিভর করে এর ইতিবাচক ব্যবহারের ওপর। ইন্টারনেট সেই অর্থে ব্যবহৃত হলে মানুষের কল্যাণে পথ আরও সুগম হবে।
ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে আমরা যা কিছু বুঝতে পারলাম আমাদের সকলের যা করা উচিত তাহলঃ-
আধুনিক জীবন ও বিজ্ঞান এর সাথে সম্পকৃত থেকে ইন্টারনেট মানুষের জন্য যে বিশেষ দিক বয়ে এনেছে। তা থেকেই বয়ে আনতে হবে কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি। যে দেশে কম্পিউটার ব্যবহার করা হবে সেই দেশের বাস্তব অবস্থা স্বীকার করেই তার প্রয়োগ ক্ষেত্রে নিবার্চন করতে হবে। এর মধ্য দিয়েই খুঁজে পেতে হবে ইন্টারনেট ব্যবহার এর সবচেয়ে ভালো দিক। আর পরিহার করতে হবে সাইবার অপরাধ এর মতো সকল অপকৌশল ও অপ ব্যবহার। মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনো মিথ্যা তথ্য আদান ও প্রদান থেকে বেশি বিরত থাকতে হবে। ভালো অবক্ষয় সাধিত হয় এমন সব কাজ ঘৃণা করতে হবে। এক কথায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে সাবিক গুরুত্ব দিয়ে সকলের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগত খেয়ালে ব্যবহার করা যাবে না।
আশা করছি সবার ভালো লেগেছে। সবার জন্য শুভ কামনা জানি শেষ করছি। সকল পাঠককে আমাদের পক্ষ থেকে অনেক অনেক ধ্যবাদ। সাথে থাকবেন আমাদের। সুমন বিডি নেট ডট কম
Your Ads Here
Your Ads Here
Your Ads Here
Your Ads Here
Newer Posts
Newer Posts
Older Posts
Older Posts
Comments