বঙ্গবন্ধু টানেল নিয়ে তথ্য বিশেষ । ‍SumonBDnet

বঙ্গবন্ধু টানেল নিয়ে তথ্য বিশেষ । ‍SumonBDnet
Posted by Admin
Your Ads Here

আজ আমরা বাংলাদেশে প্রথম কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল নিয়ে তথ্য জানব। আমাদের দেশের এটি নতুন ও প্রথম নির্মাণ হচ্ছে তা নিয়ে আজকে আমাদের পোস্ট। সর্ম্পন্ন পড়বেন। আশা করছি অনেক কিছু জানতে পারবেন।

বঙ্গবন্ধু টানেল নিয়ে তথ্য বিশেষ । Information about Bangabandhu Tunnel is special । ‍SumonBDnet
বঙ্গবন্ধু টানেল নিয়ে তথ্য বিশেষ 

Your Ads Here


বঙ্গবন্ধু টানেল বা কর্ণফুলী টানেল এর সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য বলিঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের টানেল বা বঙ্গবন্ধু টানেল বা বঙ্গবন্ধু সুড়ঙ্গ হল কর্ণফুলী নদীর নিচে অবস্থিত নির্মাণধীন এই সড়ক সুড়ঙ্গ। এটা কর্ণফুলী নদীর ২ তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করবে। এই সুরঙ্গ মধ্য দিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হবে।

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর টানেল এর দৈঘ্য ৩.৪৩ কি.মি।
  • ঠিকানাঃ ৬ কিউ এম একস + ৯৫৯, এয়ারপোর্টে আর ডি চট্টগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু টানেল এর জন্য নির্মাণ খরচ হয়েছেঃ

কর্ণফুলী টানেলের দৈঘ্য ৩.৪৩ কি.মি। সুরঙ্গ নির্মান জন্য ব্যয় হয়েছে১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং এর ঢাকা সফরে কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণের জন্য ঋন চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুযায়ী চীনের এককিম ব্যাংক ২০ বছর মেয়াদি ঋন হিসেবে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিয়েছে।


বঙ্গবন্ধু টানেল বা কর্ণফুলী টানেল এর বিষয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ

  • স্থানঃ চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
  • অবস্থাঃ নির্মাণধীন।
  • শুরুঃ দখীন পাতাঙ্গা ৪১. নং ওয়ার্ড।
  • শেষঃ আনোয়ারা। (কিরিয়া কলাপ)
  • নির্মান শুরু হচ্ছেঃ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
  • উন্মুক্ত কালঃ ২০২২ ডিসেম্বর ( আনুমানিক )
  • স্বত্তাধিকারঃ বাংলাদেশ সরকার।
  • যানবাহনঃ পণ্যবাহী গাড়ি, বাস,মোটরযান।
  • বাংলাদেশের সময়ঃ ০৯.৩৫ ঘন্টা ডিসেম্বর ২২.২০২২।
  • বঙ্গবন্ধু টানেলঃ ৯০+ ভাগ কাজ শেষ।

বঙ্গবন্ধু টানেল বা কর্ণফুলী টানেলঃ 

বঙ্গবন্ধু টানেল বা কর্ণফুলী টানেলের প্রকল্প জন্য ব্যয় আরও অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা বেড়ে গিয়েছে। এর মধ্যে শুধু স্ক্যানার কেনার জন্যই নতুন ভাবে ব্যয় ৩৫০ কোটি টাকা থেকে ৪০০ কোটি টাকা । এছাড়াও এ টানেলের দুই পাশে থানা ভবন এবং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন নির্মাণ সহ অন্যান্য ব্যয় এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে ১০ হাজার ৩০০ কোটি টাকার এই বিশাল প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাড়িয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা এর ও বেশি। প্রকল্পর ব্যয় বাড়ার একমাত্র বড় কারণ ডলারের মূল্য বৃদ্ধি। এই টানেল দপ্তর সংশিষ্ট নানান সুত্রোর সাথে কথা বলে এই তথ্য জানা যায়।

বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্ধোবনঃ

বঙ্গবন্ধু টানেল এর দৈঘ্য ৩.৪৩ কি. মি। এই সুরঙ্গটি ইতিহাস ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান শেখ হাসিনা চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং এই প্রকল্প  ভিত্তি প্রস্থ স্থাপন করেন। শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে ২৪ ফেবুয়রী শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করে চলছেন।

Your Ads Here

Your Ads Here

    ১৬ জুলাই ২০.০০.০০.০০. পিরিনটস সংরক্ষণ কাজ গুলো শুরু করে থাকে। এবং কর্ণফুলীর নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মান কাজ জোরে শোরে এগিয়ে চলছে। বলে আমরা জানি। তবে এর মধ্যে টানেলের ৯০ শতাংশ কাজ শেষে নিধারিত সময় অথাৎ আগামী ডিসেম্বর এর মধ্যে বাকি ১০ ভাগ কাজ শেষ করতে সবসময় চেষ্টা চালাচ্ছে কতৃপক্ষ।

    কর্ণফুলী নদীর ৩ দশমিক ৩২ কি. মি দীর্ঘ টানেলটি ২০২২ সালের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য ঠিক করা হবে বলে প্রকল্প পরিচালক ( পিডি) ইঞ্জিনিয়ারিং হারুনর রশীদ চৌধুরী আজ এ তথ্য জানিয়ে বলেন কর্ণফুলী টানেলের সামগ্রিক অগ্রগতি ৯০ শতাংশ পৌঁছাবে। এবং আর্থিক অগ্রগতি অর্জিত ৫৬ দশমিক ৮০ শতাংশ । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর টানেলটি সম্পুর্ণ টালেনটি এশিয়ান হাইওয়ের এক অংশ ।


    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর টানেল এর সুবিধাঃ 

    ক.ব্যাপক কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
    খ. রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
    গ. দারিদ্র্য দুর্দশা দূরিকরণ সহ অর্থ সামাজিক উন্নয়ন বাধিত হবে।


     বঙ্গবন্ধু টানেল অর্থ সামাজিক ও অনৈর্তিক গুরুত্বঃ

    কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দুই নল এবং চার নেল বিশিষ্ট টানেল নির্মান করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরীর পতাঙ্গা ও আনোয়ারা পিরানতো এই দই পাড় টানেলের মাধ্যমে যুক্ত হবে। ৩.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ২ টি ৪ লেনের টিউব এর সাহায্য চালু করা হলে  চট্টগ্রাম বন্দরটি  চিত্র এবং সামগ্রিক দেশের অর্থনীতিতে অনেক বেশি পরিবর্তন আসবে। কর্ণফুলী টানেলের আশেপাশে চীনের সাং হাইওয়ের আদলো এক শহর থেকে দুই শহরে তৈরি করেছে চট্টগ্রাম। এটি নতুন অর্থনৈতিক সুযোগর পথ তৈরি করে।

     বঙ্গবন্ধু টানেল এর গুরুত্বঃ

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরের টানেলটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এই বঙ্গবন্ধু টানেল কক্সবাজারের সাথে চট্টগ্রাম এর দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে। কক্সবাজার এবং দক্ষিণা চট্টগ্রাম এর গাড়ি চট্টগ্রাম শহরকে আরও সুরঙ্গ পথ দিয়েই রাজধানী ঢাকা সহ সারা দেশে চলাচল করতে পারবে। তাহলে চট্টগ্রাম নগরীর যানযট ও অনেকাংশে কমে যাবে।

    কর্ণফুলী টানেল বন্দরটি চট্টগ্রাম এর ল্যান্ড ঙ্কেপে আনছে বড় ধরনের পরিবর্তন। দক্ষিণ চট্টগ্রাম হয়ে উঠছে দেশের নতুন বিজনেস শহর। যা সারা দেশকে করবে উন্নত।
    Your Ads Here

    Newer Posts Newer Posts Older Posts Older Posts
    Your Ads Here

    Comments

    Post a Comment
    Loading comments...